সাত কলেজের একটি সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ ৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন কলেজটির কয়েকজন শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজটির মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা
৩. অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসিক খরচ বহন
৪. ২০২৪-২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন এবং সাংবাদিকতা বিষয় সংযোজন
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ
৬. শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ
৭. আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
এর আগে সম্প্রতি কলেজে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামফলক টানিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর পর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এ দাবিতে এখন তারা আমরণ অনশন শুরু করেছেন।অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে স্বেচ্ছায় আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছি। তিতুমীর কলেজের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিত করা ও ঢাকা উত্তরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ আন্দোলন আজ সময়ের দাবি।তারা আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনশন পালন করব। সরকার এই দাবি মেনে না নিলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।’এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ‘তিতুমীর ঐক্য’। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবি পূরণের সরকারি ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তারা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
